Dhaka ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন কমিশনের হাতেই জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার অধ্যাদেশ জারি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময়: ১২:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৭ নিউজ ভিউ

`নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ অধ্যাদেশ জারি করেন। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার এ সংশোধনী আনতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করে।

 

অধ্যাদেশটিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ২টি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সংক্রান্ত ধারা ৩ এর উপধারা (৪) প্রতিস্থাপন করে একটি ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

আরেকটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্ব সংক্রান্ত ধারা ৪ এর উপধারা (২) এর দফা (ক)  এর- ক্রমিক নং (২) দ্বারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া দফা (ক)   এর ক্রমিক নং (৬), (৭), (৮), (৯) ও (১১) পরিমার্জনক্রমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনআইডি ইসির অধীনে আসলেও বাতিল করতে হবে ২০২৩ সালে করা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার আইনটি।

এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। পরবর্তীতে সেই আইন বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনেই রাখার জন্য বলেছিল নির্বাচন কমিশন।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

নির্বাচন কমিশনের হাতেই জাতীয় পরিচয়পত্র রাখার অধ্যাদেশ জারি

আপডেটের সময়: ১২:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

`নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ অধ্যাদেশ জারি করেন। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার এ সংশোধনী আনতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদন করে।

 

অধ্যাদেশটিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ২টি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। একটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সংক্রান্ত ধারা ৩ এর উপধারা (৪) প্রতিস্থাপন করে একটি ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

আরেকটি হলো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্ব সংক্রান্ত ধারা ৪ এর উপধারা (২) এর দফা (ক)  এর- ক্রমিক নং (২) দ্বারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া দফা (ক)   এর ক্রমিক নং (৬), (৭), (৮), (৯) ও (১১) পরিমার্জনক্রমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনআইডি ইসির অধীনে আসলেও বাতিল করতে হবে ২০২৩ সালে করা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার আইনটি।

এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। পরবর্তীতে সেই আইন বাতিল করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনেই রাখার জন্য বলেছিল নির্বাচন কমিশন।

Author