Dhaka ১০:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনগরে ডাক্তার সংকটে জনদুর্ভোগ

মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডাক্তার সংকটে ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ জনপদের স্বাস্থ্য সেবা। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তারের পোস্ট রাখা হয়। মাঝে মধ্যে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলেও অধিকাংশ সময় তা পড়ে থাকে খালি। এছাড়াও অনেক সময় উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেক ডাক্তার থাকেন না। এতে একদিকে যেমন বাড়ে ভূগান্তি অন্যদিকে মানুষজনের ঘাড়ে চাপে খরচের বোঝা। ফলে দিন দিন এসব মানুষ নি:স্ব হচ্ছেন।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারী ভাবে রাজনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তারের পোস্ট রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার আরো ৩টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র একটি এমবিবিএস ও একটি ডিএমএ ডাক্তারের পোস্ট রয়েছে। যখন সরকার ডাক্তার স্বল্পতা দূরীকরণের জন্য বিশেষ কোন বিসিএস পরীক্ষা নেয়- কেবল তখনই এসব ইউনিয়ন ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়। নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ডাক্তার কর্মস্থলে দুই বছর থাকান নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় গ্রাম্য এলাকা হওয়ায় সেখানে ডাক্তার থাকতে চান না। কখনো ৩-৪ মাস বা কখনো ৮-৯ মাস কর্মস্থলে থেকেই শুরু করেন বদলির তদবীর। এতে শূণ্য হয়ে যায় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দীর্ঘদিন পড়ে থাকে ডাক্তার শূন্যতায়।

রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলে ১১টি এমবিবিএস ডাক্তারের পোস্ট রয়েছে। এসব স্থানে দীর্ঘদিন থেকে কোন ডাক্তার নেই। এমনকি খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই ডাক্তার। রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কেউলা গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, পাঁচগাঁও ইউনিয়ন বা পাঁচগাঁও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার নেই। আগে বাড়ির পাশে থাকায় যে কোন সময় গিয়ে ডাক্তার দেখানো যেতো, ঔষধ পাওয়া যেত। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে এখানে কোন ডাক্তার নেই। ফলে আমাদের উপজেলা সদর বা জেলা শহরে ডাক্তারের জন্য যেতে হয়। এতে যেমন আমাদের জন্য চিকিৎসা বেড়েছে তেমনি আমরা অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কামারচাক ইউনিয়নের করাইয়া গ্রামের আব্দুশ শহিদ বলেন, উপজেলা সদর থেকে আমরা অনেক দূরে আছি। আগে ইউনিয়নের একটি রুমে ডাক্তার বসতেন। তিনি ৩-৪ বছর আগে যে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন এখনো এখনে আর কোন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়নি। এতে আমরা সীমাহীন কষ্টে আছি। একজন ডাক্তার দেখাতে হলে উপজেলা সদরে যে তে হয় না হলে জেলা শহরে। এতে আমাদের অনেক খরচ বেড়ে গেছে।

এব্যাপারে রাজনগর উপঝে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্মর্তা ডাক্তার উৎপল দাস বলেন, রাজনগরে ডাক্তার সংকট রয়েছে। একজন ডাক্তান পাওয়া গিয়েছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রোগী দেখতে হচ্ছে। নতুন বিসিএস থেকে ডাক্তার পাওয়া গেছে ইউনিয়ন বা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোয় ডাক্তার নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে।

Author

জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

রাজনগরে ডাক্তার সংকটে জনদুর্ভোগ

আপডেটের সময়: ০৪:১৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডাক্তার সংকটে ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ জনপদের স্বাস্থ্য সেবা। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তারের পোস্ট রাখা হয়। মাঝে মধ্যে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলেও অধিকাংশ সময় তা পড়ে থাকে খালি। এছাড়াও অনেক সময় উপজেলা সদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেক ডাক্তার থাকেন না। এতে একদিকে যেমন বাড়ে ভূগান্তি অন্যদিকে মানুষজনের ঘাড়ে চাপে খরচের বোঝা। ফলে দিন দিন এসব মানুষ নি:স্ব হচ্ছেন।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সরকারী ভাবে রাজনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তারের পোস্ট রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার আরো ৩টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র একটি এমবিবিএস ও একটি ডিএমএ ডাক্তারের পোস্ট রয়েছে। যখন সরকার ডাক্তার স্বল্পতা দূরীকরণের জন্য বিশেষ কোন বিসিএস পরীক্ষা নেয়- কেবল তখনই এসব ইউনিয়ন ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়। নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ডাক্তার কর্মস্থলে দুই বছর থাকান নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় গ্রাম্য এলাকা হওয়ায় সেখানে ডাক্তার থাকতে চান না। কখনো ৩-৪ মাস বা কখনো ৮-৯ মাস কর্মস্থলে থেকেই শুরু করেন বদলির তদবীর। এতে শূণ্য হয়ে যায় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দীর্ঘদিন পড়ে থাকে ডাক্তার শূন্যতায়।

রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলে ১১টি এমবিবিএস ডাক্তারের পোস্ট রয়েছে। এসব স্থানে দীর্ঘদিন থেকে কোন ডাক্তার নেই। এমনকি খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই ডাক্তার। রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কেউলা গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, পাঁচগাঁও ইউনিয়ন বা পাঁচগাঁও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার নেই। আগে বাড়ির পাশে থাকায় যে কোন সময় গিয়ে ডাক্তার দেখানো যেতো, ঔষধ পাওয়া যেত। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে এখানে কোন ডাক্তার নেই। ফলে আমাদের উপজেলা সদর বা জেলা শহরে ডাক্তারের জন্য যেতে হয়। এতে যেমন আমাদের জন্য চিকিৎসা বেড়েছে তেমনি আমরা অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কামারচাক ইউনিয়নের করাইয়া গ্রামের আব্দুশ শহিদ বলেন, উপজেলা সদর থেকে আমরা অনেক দূরে আছি। আগে ইউনিয়নের একটি রুমে ডাক্তার বসতেন। তিনি ৩-৪ বছর আগে যে বদলি হয়ে গিয়েছিলেন এখনো এখনে আর কোন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়নি। এতে আমরা সীমাহীন কষ্টে আছি। একজন ডাক্তার দেখাতে হলে উপজেলা সদরে যে তে হয় না হলে জেলা শহরে। এতে আমাদের অনেক খরচ বেড়ে গেছে।

এব্যাপারে রাজনগর উপঝে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্মর্তা ডাক্তার উৎপল দাস বলেন, রাজনগরে ডাক্তার সংকট রয়েছে। একজন ডাক্তান পাওয়া গিয়েছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রোগী দেখতে হচ্ছে। নতুন বিসিএস থেকে ডাক্তার পাওয়া গেছে ইউনিয়ন বা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোয় ডাক্তার নিয়োগ দেয়া সম্ভব হবে।

Author