ডেস্ক রিপোর্ট : শৌচাগার বা অন্য কোনো অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করলে গুনাহ হবে না। তবে আল্লাহর নাম মুখে উচ্চারণ করা উচিত নয়। ফকিহগণ শৌচাগারে থাকা অবস্থায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করাকে মাকরুহ বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, শৌচাগারে বসে আল্লাহর জিকির করা মাকরুহ। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১২২৮)
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর নাম খচিত আংটি টয়লেটে নিয়ে যেতেন না। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) টয়লেটে যাওয়ার সময় তার আংটি খুলে রেখে যেতেন। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩০৩)
নবিজির (সা.) এ আমল থেকেও বোঝা যায় আল্লাহর নাম লেখা কিছু শৌচাগারে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়, একইভাবে শৌচাগারে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করাও উচিত নয়।
তাই শৌচাগারে থাকা অবস্থায় হাঁচি দিলে মুখে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা যাবে না। তবে মুখে উচ্চারণ করা ছাড়া মনে মনে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে সমস্যা নেই। তাবেয়ি হাসান বসরি (রহ.) বলেন, শৌচাগারে হাঁচি দিলে মনে মনে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা যেতে পারে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১২৩৫)
গোসলখানা যদি টয়লেট সংলগ্ন হয় এবং টয়লেট দুর্গন্ধযুক্ত হয় বা পরিচ্ছন্ন না হয়, তাহলে এ রকম গোসলখানায়ও হাঁচি দিলে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অজু করলে অজুর শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ ও অন্যান্য দোয়া পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
টয়লেট সংযুক্ত গোসলখানা যদি দুর্গন্ধমুক্ত হয়, গোসলখানার মেঝে ও দেয়াল পবিত্র হয়, কমোড যথাযথভাবে পরিস্কার করা থাকে বা ঢাকনা দেয়া থাকে, তাহলে গোসলখানায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা যাবে। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ও অন্যান্য দোয়া-জিকির পড়া যাবে।