হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘সনাতন-দীননাথ যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’ দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রাম সহ আশেপাশের এলাকায় কাজ করে আসছে। সংস্থাটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্র ও যুব সমাজকে নিয়ে বাল্য বিবাহ রোধ, মাদক বিরোধী সচেতনতা, ইভটিজিং, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ সমাজের নানান অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয় ও যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। ইতিমধ্যে গ্রামের ৩০ জন যুবক-যুবতীদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি। সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের গতিশীল ও সন্তোষজনক কার্যক্রমে বিগত ২৯ অক্টোবর তারিখে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তাহার গ্রামের দুই কীর্তি পুরুষ, ব্রিটিশ শাসনামলের নবীগঞ্জ থানার ৩৯ নং সার্কেল পঞ্চায়েতের সহোদর সরপঞ্চ, ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের স্থানীয় সংগঠক এবং সামজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদ্বয় শ্রীমান সনাতন দাস ও শ্রীমান দীননাথ দাস এঁর নামানুসারে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ ভূঞা বলেন- ‘এই সংগঠনটি শিক্ষিত, দক্ষ ও উদ্দীপ্ত কিছু তরুন-তরুনীদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে। যারা এই এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এই সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করেছি। আমরা তাদের আগ্রহ ও কর্মকান্ডে খুশী। আশাকরি এই সংগঠন দ্বারা এলাকাবাসী ভালো কিছু পাবে। আমি এই সংগঠনের সমৃদ্ধি কামনা করি।’
নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন- ‘নবীগঞ্জ উপজেলার প্রাচীন দু’জন খ্যাতিমান ব্যক্তির নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনকে নিবন্ধন প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সবচেয়ে বড়ো কথা সংগঠনের অধিকাংশ সদস্যরা শিক্ষিত ও সুশীল। আশাকরি সংগঠনের সদস্যরা ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সম্মিলনে ভালো কিছু করে দেখাবে।’
নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন- ‘সনাতন-দীননাথ যুব ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’- নামক সংগঠনের সদস্যরা খুবই সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজ ও দেশ গঠনে তাদের আন্তরিক চেষ্টা পরিলক্ষিত করার মতো। আমি এই সংগঠনের সফলতা কামনা করছি।’
নবীগঞ্জ উপজেলার ৭নং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ বলেন- ‘আমার ইউনিয়নের দুইজন খ্যাতিমান মানুষের নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন কে নিবন্ধন প্রদান করায় আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি। এই সংগঠনের সদস্যরা যেমনি আন্তরিক, তেমনি সক্রিয়। তাদের দ্বারা ভালো কিছু হবেই।’
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা রত্নদীপ দাস (রাজু) বলেন- ‘আমরা বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ তথা দেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দেশ গঠনের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে যুব সমাজ। দেশের যুব সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে উন্নত বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব নয়। আমরা যুবকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক জনাব একেএম আব্দুল্লাহ ভূঞা, নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব জহিরুল ইসলাম ও সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলামকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সংগঠনকে রেজিস্ট্রেশন প্রদান করার জন্য। সংগঠনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
সংগঠনের সভাপতি দেবাশীষ দাশ রতন বলেন- ‘আমাদের সংগঠন কে নিবন্ধনে সহযোগিতা করায় নবীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা রত্নদীপ দাস (রাজু) প্রান্তিক পর্যায়ে আমাদেরকে নিয়ে যে জাগরণের সৃষ্টি করেছেন, তা একদিন জাতীয় পর্যায়ে মডেল হিসেবে পরিগনিত হবে আমরা আশা রাখি।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনি দাশ বলেন- ‘সংগঠন কে শক্তিশালী করতে এলাকাবাসী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সহযোগিতা চাই। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা রত্নদীপ দাস (রাজু) আমাদেরকে নিয়ে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি এই সংগঠনের মাধ্যমে তাঁর সহযাত্রী হতে পেরে আনন্দিত। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
















