Dhaka ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জের বাঁশ মহাল এক দশক ধরে ইজারা হয়নি-পাচার ও বিনষ্ট হচ্ছে বাঁশ, হারাচ্ছে রাজস্ব

কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনের অধীনে থাকা ৭টি বাঁশ মহাল দীর্ঘ এক দশক ধরে ইজারা হয়নি। ফলে মহালের বাঁশ বনে পঁচে বিনষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি চোরাকারবারিদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বাঁশ। এতে বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে পাচারকারীদের অবাধ দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে। আর বছরের পর বছর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

জানা যায়, রাজকান্দি বন রেঞ্জের অধীনে কুরমা, আদমপুর ও কামারছড়া বনবিট রয়েছে। এর মধ্যে আদমপুর ও কুরমা বনবিটে লাউয়াছড়া, চম্পারায়, বাঘাছড়া, ডালুয়াছড়া, কুরমাছড়া, সোনারাইছড়া ও সুনছড়া বাঁশ মহাল অবস্থিত। মহালগুলোতে প্রচুর বাঁশ থাকলেও গত এক দশক ধরে ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। দর কমানোর অজুহাতে ইজারাদারদের সিন্ডিকেট দরপত্রে অংশ নিচ্ছে না। ফলে একদিকে মহালের বাঁশ অযত্নে নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাক, পিকআপ, ঠেলাগাড়ি ও নদীপথে পাচার হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব পাচার হচ্ছে। অভিযোগ করলে তা ‘বাড়িঘরের বাঁশ’ বলে দায় এড়ানো হয়। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, শিগগির পদক্ষেপ না নিলে কয়েক বছরের মধ্যেই মহালগুলোতে বাঁশের অস্তিত্ব থাকবে না।

পরিবেশকর্মীরা বলছেন, একসময় বৈধভাবে ইজারা দিয়ে এসব বাঁশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হতো। এখন মহালে পর্যাপ্ত বাঁশ না থাকায় এবং চুরি সহজ হওয়ায় কেউ ইজারা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি সালেহ সোহেল বলেন, চুরি করে বাঁশ বিক্রি করা সহজ হওয়ায় মহালদাররা আর দরপত্রে আসছেন না। এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে বাঁশ, বেত, গাছ এমনকি বনের প্রাণীও হারিয়ে যাবে।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

কমলগঞ্জের বাঁশ মহাল এক দশক ধরে ইজারা হয়নি-পাচার ও বিনষ্ট হচ্ছে বাঁশ, হারাচ্ছে রাজস্ব

আপডেটের সময়: ০৩:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনের অধীনে থাকা ৭টি বাঁশ মহাল দীর্ঘ এক দশক ধরে ইজারা হয়নি। ফলে মহালের বাঁশ বনে পঁচে বিনষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি চোরাকারবারিদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বাঁশ। এতে বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে পাচারকারীদের অবাধ দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে। আর বছরের পর বছর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

জানা যায়, রাজকান্দি বন রেঞ্জের অধীনে কুরমা, আদমপুর ও কামারছড়া বনবিট রয়েছে। এর মধ্যে আদমপুর ও কুরমা বনবিটে লাউয়াছড়া, চম্পারায়, বাঘাছড়া, ডালুয়াছড়া, কুরমাছড়া, সোনারাইছড়া ও সুনছড়া বাঁশ মহাল অবস্থিত। মহালগুলোতে প্রচুর বাঁশ থাকলেও গত এক দশক ধরে ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। দর কমানোর অজুহাতে ইজারাদারদের সিন্ডিকেট দরপত্রে অংশ নিচ্ছে না। ফলে একদিকে মহালের বাঁশ অযত্নে নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাক, পিকআপ, ঠেলাগাড়ি ও নদীপথে পাচার হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব পাচার হচ্ছে। অভিযোগ করলে তা ‘বাড়িঘরের বাঁশ’ বলে দায় এড়ানো হয়। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, শিগগির পদক্ষেপ না নিলে কয়েক বছরের মধ্যেই মহালগুলোতে বাঁশের অস্তিত্ব থাকবে না।

পরিবেশকর্মীরা বলছেন, একসময় বৈধভাবে ইজারা দিয়ে এসব বাঁশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হতো। এখন মহালে পর্যাপ্ত বাঁশ না থাকায় এবং চুরি সহজ হওয়ায় কেউ ইজারা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি সালেহ সোহেল বলেন, চুরি করে বাঁশ বিক্রি করা সহজ হওয়ায় মহালদাররা আর দরপত্রে আসছেন না। এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে বাঁশ, বেত, গাছ এমনকি বনের প্রাণীও হারিয়ে যাবে।

Author