Dhaka ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনগরে জমি দখল করে মা-মেয়েকে ঘরছাড়া করলো সন্তান

রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নে মা-মেয়ের জমি দখলের অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা লোকেশ শব্দ করের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দা লোকেশ শব্দকর, তিনি  মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির ও ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন।  বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠা মা মাতংগিনী শব্দকর (৯০) ও চাচাতো বোন বিনোদিনী শব্দকরের সম্পত্তি দখল এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য প্রায় তিন একর জমি দখলের উদ্দেশ্যে লোকেশ শব্দকর তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। বৃদ্ধা মাতংগিনী, তাঁর মেয়ে বিনোদিনী ও নাতি প্রদীপ মোহন কর বর্তমানে ভাড়া বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

প্রদীপ মোহন কর জানান, ২০২০ সালে তাঁরা উচ্ছেদ হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও লোকেশ শব্দকর তা মানেননি। বরং উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং ২০২৩ সালে হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন।

বিনোদিনী শব্দকর অভিযোগ করেন, স্বামী দিপু মোহন করের মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা ও ছেলের চাকরি স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকেশ শব্দকর তাঁদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন, পরে তা ফেরত দেননি।

 

 

অভিযোগ অস্বীকার করে লোকেশ শব্দকর বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কাউকে উচ্ছেদ করিনি।

 

 

তবে স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সালিশে উপস্থিত ব্যক্তিরা নিশ্চিত করেছেন যে, বৃদ্ধা মাতংগিনী ও তাঁর পরিবারকে সত্যিই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এবং ৬ লাখ টাকার বিষয়টি নিয়েও একাধিক বৈঠক হয়েছে।

বৃদ্ধা মাতংগিনী শব্দকর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, নিজের স্বামীর ঘর থেকে আমাকে বের করে দিয়েছে। নাতি দিনমজুরি করে আমাদের ভাড়া ঘরে রাখে। আমি ন্যায়বিচার চাই।

দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক ভাবে শালিস বৈঠকের চেষ্টা, ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী পরিবার কিন্তু কোন ফলাফল পাননি এমনকি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন কাজ হয়নি।

স্থানীয় জনমতে, প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভুক্তভোগী পরিবার এখন ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য  সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

রাজনগরে জমি দখল করে মা-মেয়েকে ঘরছাড়া করলো সন্তান

আপডেটের সময়: ০২:৫৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নে মা-মেয়ের জমি দখলের অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা লোকেশ শব্দ করের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দা লোকেশ শব্দকর, তিনি  মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির ও ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন।  বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠা মা মাতংগিনী শব্দকর (৯০) ও চাচাতো বোন বিনোদিনী শব্দকরের সম্পত্তি দখল এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্য প্রায় তিন একর জমি দখলের উদ্দেশ্যে লোকেশ শব্দকর তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। বৃদ্ধা মাতংগিনী, তাঁর মেয়ে বিনোদিনী ও নাতি প্রদীপ মোহন কর বর্তমানে ভাড়া বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

প্রদীপ মোহন কর জানান, ২০২০ সালে তাঁরা উচ্ছেদ হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও লোকেশ শব্দকর তা মানেননি। বরং উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন এবং ২০২৩ সালে হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন।

বিনোদিনী শব্দকর অভিযোগ করেন, স্বামী দিপু মোহন করের মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা ও ছেলের চাকরি স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকেশ শব্দকর তাঁদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন, পরে তা ফেরত দেননি।

 

 

অভিযোগ অস্বীকার করে লোকেশ শব্দকর বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কাউকে উচ্ছেদ করিনি।

 

 

তবে স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সালিশে উপস্থিত ব্যক্তিরা নিশ্চিত করেছেন যে, বৃদ্ধা মাতংগিনী ও তাঁর পরিবারকে সত্যিই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এবং ৬ লাখ টাকার বিষয়টি নিয়েও একাধিক বৈঠক হয়েছে।

বৃদ্ধা মাতংগিনী শব্দকর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, নিজের স্বামীর ঘর থেকে আমাকে বের করে দিয়েছে। নাতি দিনমজুরি করে আমাদের ভাড়া ঘরে রাখে। আমি ন্যায়বিচার চাই।

দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয় নিয়ে সামাজিক ভাবে শালিস বৈঠকের চেষ্টা, ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী পরিবার কিন্তু কোন ফলাফল পাননি এমনকি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন কাজ হয়নি।

স্থানীয় জনমতে, প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভুক্তভোগী পরিবার এখন ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য  সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Author