মৌলভীবাজার জেলার আলীনগর ইউনিয়নের
চিৎলিয়া গ্রামের মরহুম বাদশা মিয়ার সহধর্মিণী সদ্য মৃত্যুবরণকারী আশিকজান বিবি (৬৮) প্রায় মাস খানেক মৃত্যু যন্ত্রণায় থেকে অবশেষে গত ২১সেপ্টেম্বর রাত ১১.৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি গত ১৮আগস্ট প্রফেসর গোলাম রহমানের পরামর্শে পেটের ব্যাথা নিয়ে পিত্তনালীর পাথর অপসারণ করার জন্য মৌলভীবাজার শহরের মোস্তফাপুর এলাকায় অবস্থিত নুরজাহান (প্রা:) হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন রাত ১৯আগস্ট ১০ঘটিকায় ডা: গোলাম রহমান অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশন করার পর থেকেই পেটের ভেতর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অধিক পরিমানে জলীয় পদার্থ বের হতে থাকে। রোগীর স্বজনরা কোন উপায়ন্তর না দেখে রোগী আশিকজান বিবি কে ২৯ আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করান । কিন্তু সেখানে রোগীর অবস্থার কোন উন্নতি না হলে সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকগণ রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন মৌলভীবাজারে রোগীকে ভুল অপারেশনের মাধ্যমে তার খাদ্য নালী কেটে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে ভেতরের সবকিছু বের হয়ে আসছে। এক পর্যায়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকগণ অপারগতা প্রকাশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ১৮সেপ্টেম্বর রোগীর স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ রোগীর অবস্থ’া নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানান এবং রোগীর পিত্ত নালীর অপারেশনটি ত্রুটিপূর্ণ, অস্বাভাবিক ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে বলে জানান। অবশেষে ২১সেপ্টেম্বর রাত ১১.৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত্যুবরণকারী রোগী আশিকজান বিবির বড় ছেলে তাজুদ জানান, ডা: গোলাম রহমানের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রচলিত আইনেই ডা: গোলাম রহমান ও সংশ্লিষ্ট দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তাছাড়া তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান। অপরদিকে ডা: গোলাম রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উনার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।