Dhaka ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণে ওজনে কারচুপি, ক্ষুব্ধ উপকারভোগীরা

  • বাপ্পী দেব
  • আপডেটের সময়: ০৮:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৯৪ নিউজ ভিউ

শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট ইউনিয়নের বর্মাছড়া চা বাগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন উপকারভোগীকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেওয়া হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ কেজি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশ ভৌমিক নামের একজন ডিলারের মাধ্যমে ৩টি ওয়ার্ডের মোট ৪৮২ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হয়। তবে গত ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে সরেজমিনে উপকারভোগীদের বস্তা মেপে দেখা যায়—কোথাও ২৮ কেজি, কোথাও ২৬ কেজি চাল রয়েছে।

প্রতি মাসের সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও ডিলার একদিন আগে, রবিবার থেকেই বিতরণ শুরু করেন। উপকারভোগীরা অভিযোগ করেছেন—ডিলার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে নিয়মিত ওজনে কারচুপি চলছে, এতে হতদরিদ্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে ডিলার প্রকাশ ভৌমিক বলেন, ৫০ কেজির বস্তায় প্রতি ২ কেজি ঘাটতি থাকায় আমি ২৮ কেজি করে দিয়েছি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা দীপক কুমার মন্ডল বলেন,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীরা অবশ্যই ৩০ কেজি করেই চাল পাবেন। এখানে কোন ঘাটতি চাল বাদ দেওয়ার নিয়ম নেই। আমি সরেজমিনে দেখেছি ২৮ কেজি দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

শ্রীমঙ্গলে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণে ওজনে কারচুপি, ক্ষুব্ধ উপকারভোগীরা

আপডেটের সময়: ০৮:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট ইউনিয়নের বর্মাছড়া চা বাগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন উপকারভোগীকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে দেওয়া হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ কেজি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশ ভৌমিক নামের একজন ডিলারের মাধ্যমে ৩টি ওয়ার্ডের মোট ৪৮২ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হয়। তবে গত ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে সরেজমিনে উপকারভোগীদের বস্তা মেপে দেখা যায়—কোথাও ২৮ কেজি, কোথাও ২৬ কেজি চাল রয়েছে।

প্রতি মাসের সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও ডিলার একদিন আগে, রবিবার থেকেই বিতরণ শুরু করেন। উপকারভোগীরা অভিযোগ করেছেন—ডিলার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে নিয়মিত ওজনে কারচুপি চলছে, এতে হতদরিদ্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে ডিলার প্রকাশ ভৌমিক বলেন, ৫০ কেজির বস্তায় প্রতি ২ কেজি ঘাটতি থাকায় আমি ২৮ কেজি করে দিয়েছি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা দীপক কুমার মন্ডল বলেন,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীরা অবশ্যই ৩০ কেজি করেই চাল পাবেন। এখানে কোন ঘাটতি চাল বাদ দেওয়ার নিয়ম নেই। আমি সরেজমিনে দেখেছি ২৮ কেজি দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Author