পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভাগ্নের হাতে মামা খুন হন। নিহত ওই ব্যক্তি ছালিক মিয়া (৪৫)।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়নের উত্তর নাদামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছালিক মিয়ার সঙ্গে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বরুমুহা গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার পুত্র দিলদার খান, এরশাদ খান, আমির খানের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে বোরো জমিতে ধান চাষ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দিলদার খান ও তার ভাইয়েরা হামলা চালায় ছালিক মিয়ার ওপর। ঘটনাস্থলে ঝাটার আঘাতে তার মৃত্যু হয়। পরে ছালিক মিয়ার স্বজনরা তাকে উদ্ধারে করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মো. নুর মিয়া জানান, ‘আপন চাচাতো বোনের ছেলে দিলদার খান, এরশাদ খান ও আমির খানের সাথে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার আমির খানকে তার ভাই ছালিক মিয়া তাদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করলে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তারা হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে দিলদার খান তার ভাইকে গলার নীচ বরাবর ঝাটা দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা বলেন, ‘জগন্নাথপুর উপজেলার ১নং কলকলিয়া ইউনিয়নের উত্তর নাদামপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভাগ্নের হাতে ছালিক মিয়া নামের ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামীরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা যায় নি। তবে আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।