শ্রীমঙ্গল উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আমরা করব জয়’ কর্তৃক আয়োজিত মেধা মূল্যায়ন বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৫টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হলোঃ
১. শ্রীমঙ্গল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়,
২. ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,
৩. মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
৪.আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয় ও
৫. নাজাত মডেল স্কুল।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান এই পাঁচটি বিষয়ে মোট ৪০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তৃতীয় শ্রেণির ৩৭৬ জন, চতুর্থ শ্রেণির ৩৯৭ জন এবং পঞ্চম শ্রেণির ৪৫১ জনসহ মোট ১,২২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

শ্রীমঙ্গল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সুদর্শন শীল, শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, ‘আমরা করব জয়’ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. একরামুল কবীর, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি দেবাশীষ ধর পার্থ এবং সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ও ‘আমরা করব জয়’ ফাউন্ডেশনের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা বেগম প্রমুখ।
‘আমরা করব জয়’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মডেল টেকনিক্যাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মো. মাহবুব আলম স্বপন বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি ও শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে এ মেধা বৃত্তি আয়োজন করা হয়েছে। আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম আয়োজন করেছি।”
ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও কুঞ্জবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. একরামুল কবীর জানান,“মেধার মানোন্নয়নে এ ধরনের মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উন্নয়ন ও নৈতিক মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করাই এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এই মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০২৪ সাল থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যও এই কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৬ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
৩য়, ৪র্থ ও ৫ম এই তিন শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ মিলিয়ে মোট ১৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রধান করা হবে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ মিলিয়ে মোট ১৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
বাপ্পী দেব 















