Dhaka ০২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ঐতিহ্যের ছন্দে বৈঠার মহোৎসব

  • মো: সাহাবুদ্দীন
  • আপডেটের সময়: ১১:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৩৫ নিউজ ভিউ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর বুকে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জমে উঠেছিলো এক অনন্য উৎসবের আমেজ। গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইছ প্রতিযোগিতা দেখতে নদীর দুই তীরে জড়ো হয়েছিল প্রায় লক্ষাধিক উৎসুক জনতা। হামরকোনা গ্রামবাসী-শেরপুর কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা যেন পরিণত হয়েছিলো এক মহামিলনমেলায়।

প্রতিযোগিতার খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থ-সম্পাদক কর্ণেল আহমদ কর্ণেলর সভাপতিত্বে ও জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার আলী হোসেন রানার ধারাভাষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম (ময়ুন), সদস্য সচিব আব্দুর রহিম (রিপন), জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান (সোহান)। এছাড়াও নিরাপত্তায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি।

রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতায় নবীগঞ্জের বাগাউড়ার মরম আলীর তরী প্রথম স্থান অর্জন করে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি মোটরসাইকেল। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী এসকের তরী গোতগাও জয় করেছে একটি বড় ফ্রিজ। তৃতীয় স্থান পেয়েছে বল্লভপুরের কানাই শাহের তরী, পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ফ্রিজ। চতুর্থ স্থান অর্জনকারী মিলিক জাগন্নাথপুরের ঈশানের তরী পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি এলইডি টিভি।

উল্লেখ্য, কুশিয়ারা নদীর ঢেউয়ের বুকে বৈঠার ছন্দে ভেসে চলা এসব তরী যেন গ্রামীণ সংস্কৃতির শেকড়ের টানকে আরও গভীর করে তোলে। নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো মানুষ বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে উৎসাহ যুগিয়েছে প্রতিযোগীদের।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও নৌকাবাইছ আয়োজন গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস। এই ধারাবাহিকতা চলুক, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। এ আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ছিল ঐতিহ্য, আনন্দ আর মিলনমেলার এক অনবদ্য উদযাপন।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

শেরপুরে ঐতিহ্যের ছন্দে বৈঠার মহোৎসব

আপডেটের সময়: ১১:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর বুকে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জমে উঠেছিলো এক অনন্য উৎসবের আমেজ। গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইছ প্রতিযোগিতা দেখতে নদীর দুই তীরে জড়ো হয়েছিল প্রায় লক্ষাধিক উৎসুক জনতা। হামরকোনা গ্রামবাসী-শেরপুর কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা যেন পরিণত হয়েছিলো এক মহামিলনমেলায়।

প্রতিযোগিতার খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির অর্থ-সম্পাদক কর্ণেল আহমদ কর্ণেলর সভাপতিত্বে ও জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার আলী হোসেন রানার ধারাভাষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম (ময়ুন), সদস্য সচিব আব্দুর রহিম (রিপন), জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান (সোহান)। এছাড়াও নিরাপত্তায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি।

রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতায় নবীগঞ্জের বাগাউড়ার মরম আলীর তরী প্রথম স্থান অর্জন করে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি মোটরসাইকেল। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী এসকের তরী গোতগাও জয় করেছে একটি বড় ফ্রিজ। তৃতীয় স্থান পেয়েছে বল্লভপুরের কানাই শাহের তরী, পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি ফ্রিজ। চতুর্থ স্থান অর্জনকারী মিলিক জাগন্নাথপুরের ঈশানের তরী পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে একটি এলইডি টিভি।

উল্লেখ্য, কুশিয়ারা নদীর ঢেউয়ের বুকে বৈঠার ছন্দে ভেসে চলা এসব তরী যেন গ্রামীণ সংস্কৃতির শেকড়ের টানকে আরও গভীর করে তোলে। নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো মানুষ বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে উৎসাহ যুগিয়েছে প্রতিযোগীদের।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও নৌকাবাইছ আয়োজন গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস। এই ধারাবাহিকতা চলুক, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। এ আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ছিল ঐতিহ্য, আনন্দ আর মিলনমেলার এক অনবদ্য উদযাপন।

Author