Dhaka ১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারত বলছে ‘অহিংসার ওপর সহিংস আক্রমণ’

লন্ডনের ট্যাভিস্টক স্কয়ারে মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে গান্ধী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আপত্তিকর গ্রাফিতিও আঁকা হয়েছে।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

গান্ধীর জন্মবার্ষিকী ও জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস (২ অক্টোবর) পালনের কয়েক দিন আগে এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় হাইকমিশন বলছে, এটি কেবল ভাঙচুর নয়, বরং অহিংসার আদর্শের ওপর একটি সহিংস আক্রমণ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তিটির গায়ে ও বেদিমুখী সিঁড়িতে স্প্রে-পেইন্ট করে লেখা হয়েছে— ‘Gandhi-Modi Hindustani Terrorists’।

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ভারতীয় হাইকমিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, লন্ডনের ট্যাভিস্টক স্কয়ারে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এটি শুধু ভাঙচুর নয়, বরং আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের তিন দিন আগে অহিংসার ধারণা ও মহাত্মার উত্তরাধিকারের ওপর সহিংস আঘাত।

হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে দল পাঠিয়ে ভাস্কর্যটিকে পুনরায় তার মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

শিল্পী ফ্রেডা ব্রিলিয়ান্ট নির্মিত এই ভাস্কর্যটি ১৯৬৮ সালে ইন্ডিয়া লিগের উদ্যোগে উন্মোচিত হয়। গান্ধীর ছাত্রজীবনের স্মৃতিবাহী এ ভাস্কর্যের ফলকে খোদাই করে লেখা রয়েছে—“Mahatma Gandhi, 1869–1948। ”

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রো-খালিস্তানি বিক্ষোভকারীরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের লন্ডন সফরের সময় চ্যাথাম হাউসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিল। সে সময়ও ভারত সরকার ওই কার্যক্রমকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অপব্যবহার’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর
.copy_right_section { display: none; }

লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারত বলছে ‘অহিংসার ওপর সহিংস আক্রমণ’

আপডেটের সময়: ০৭:০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

লন্ডনের ট্যাভিস্টক স্কয়ারে মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে গান্ধী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আপত্তিকর গ্রাফিতিও আঁকা হয়েছে।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

গান্ধীর জন্মবার্ষিকী ও জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস (২ অক্টোবর) পালনের কয়েক দিন আগে এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় হাইকমিশন বলছে, এটি কেবল ভাঙচুর নয়, বরং অহিংসার আদর্শের ওপর একটি সহিংস আক্রমণ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তিটির গায়ে ও বেদিমুখী সিঁড়িতে স্প্রে-পেইন্ট করে লেখা হয়েছে— ‘Gandhi-Modi Hindustani Terrorists’।

এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ভারতীয় হাইকমিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, লন্ডনের ট্যাভিস্টক স্কয়ারে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এটি শুধু ভাঙচুর নয়, বরং আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের তিন দিন আগে অহিংসার ধারণা ও মহাত্মার উত্তরাধিকারের ওপর সহিংস আঘাত।

হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে দল পাঠিয়ে ভাস্কর্যটিকে পুনরায় তার মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

শিল্পী ফ্রেডা ব্রিলিয়ান্ট নির্মিত এই ভাস্কর্যটি ১৯৬৮ সালে ইন্ডিয়া লিগের উদ্যোগে উন্মোচিত হয়। গান্ধীর ছাত্রজীবনের স্মৃতিবাহী এ ভাস্কর্যের ফলকে খোদাই করে লেখা রয়েছে—“Mahatma Gandhi, 1869–1948। ”

এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রো-খালিস্তানি বিক্ষোভকারীরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের লন্ডন সফরের সময় চ্যাথাম হাউসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছিল। সে সময়ও ভারত সরকার ওই কার্যক্রমকে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অপব্যবহার’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল।

Author