Dhaka ০২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রায়াল রুমে করা হতো নারীদের গোপন ভিডিও, ক্ষুব্দ ইরফান সাজ্জাদ

রাজধানীর উত্তরার এক পোশাকের দোকানে নারীদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত গোপনে ধারণ করার ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। নিজের পরিচিত এক তরুণীর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ইউনিট-২-এর বিপরীতে অবস্থিত একটি শোরুমে। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ট্রায়াল রুমে গোপনে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। এর মাধ্যমে নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হচ্ছিল।

ইরফান জানান, ঘটনার শিকার তরুণী তার পরিচিত। সাহসের সঙ্গে মেয়েটি ক্যামেরার উপস্থিতি শনাক্ত করেন এবং দোকানকর্মীদের মুখোমুখি হন। শুরুতে দোকানদার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং মেয়েটিকে ও তার সঙ্গীদের দোকানে আটকে রাখার চেষ্টা করে।

চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের মানুষ ছুটে এলে দোকানের কয়েকজন কর্মচারী পালিয়ে যায়। ইরফান অভিযোগ করেন, ভবনের কিছু লোক তাদের পালাতে সহায়তা করেছে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির মোবাইলে অসংখ্য গোপনে ধারণ করা ভিডিও উদ্ধার করে। ইরফান বলেন, ‘লোকটা ছিল দাড়িওয়ালা, দেখতে ভদ্রলোকের মতো। অথচ মোবাইলে কী ভয়ঙ্কর সব ভিডিও!’

ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইরফান পোস্টে লিখেছেন, ‘চারপাশে এমন অনেক ভদ্রবেশী নরপিশাচ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাবধান হোন! নারীদের প্রতি এমন অপরাধ বরদাস্ত করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটি সাহস করে প্রতিবাদ না করলে হয়তো কিছুই জানা যেত না। এখন সময় এসেছে আরও সচেতন হওয়ার।’

এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।

Author

ট্যাগ :
জনপ্রিয় খবর

বড়লেখায় বিদ্যালয়ের গেট থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

.copy_right_section { display: none; }

ট্রায়াল রুমে করা হতো নারীদের গোপন ভিডিও, ক্ষুব্দ ইরফান সাজ্জাদ

আপডেটের সময়: ০১:৫২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার এক পোশাকের দোকানে নারীদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত গোপনে ধারণ করার ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। নিজের পরিচিত এক তরুণীর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ইউনিট-২-এর বিপরীতে অবস্থিত একটি শোরুমে। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ট্রায়াল রুমে গোপনে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। এর মাধ্যমে নারীদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হচ্ছিল।

ইরফান জানান, ঘটনার শিকার তরুণী তার পরিচিত। সাহসের সঙ্গে মেয়েটি ক্যামেরার উপস্থিতি শনাক্ত করেন এবং দোকানকর্মীদের মুখোমুখি হন। শুরুতে দোকানদার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং মেয়েটিকে ও তার সঙ্গীদের দোকানে আটকে রাখার চেষ্টা করে।

চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের মানুষ ছুটে এলে দোকানের কয়েকজন কর্মচারী পালিয়ে যায়। ইরফান অভিযোগ করেন, ভবনের কিছু লোক তাদের পালাতে সহায়তা করেছে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির মোবাইলে অসংখ্য গোপনে ধারণ করা ভিডিও উদ্ধার করে। ইরফান বলেন, ‘লোকটা ছিল দাড়িওয়ালা, দেখতে ভদ্রলোকের মতো। অথচ মোবাইলে কী ভয়ঙ্কর সব ভিডিও!’

ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইরফান পোস্টে লিখেছেন, ‘চারপাশে এমন অনেক ভদ্রবেশী নরপিশাচ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাবধান হোন! নারীদের প্রতি এমন অপরাধ বরদাস্ত করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটি সাহস করে প্রতিবাদ না করলে হয়তো কিছুই জানা যেত না। এখন সময় এসেছে আরও সচেতন হওয়ার।’

এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।

Author