যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাফাক জানিয়েছে, গাজা সিটিতে এক ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে হামাস অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, গাজার অস্থায়ী প্রশাসনিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে হামাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরই আটজনকে একসঙ্গে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর আসে। খবর বিবিসির
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখ ঢাকা হামাস যোদ্ধারা আটজনকে নিয়ে আসে, যাদের হাত বাঁধা ও চোখে কাপড় বাঁধা ছিল।
হামাস জানিয়েছে, এরা গত দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে এবং নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
এদিকে, গাজার শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী দোঘমুস পরিবারের যোদ্ধাদের সঙ্গেও তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে হামাস।
rolex replica watches
replica watches uk
cheap replica watches
ইয়েনেতের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে দোঘমুস গোষ্ঠীর কমপক্ষে ৫২ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের ১২ জন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে সংগঠনের সিনিয়র নেতা বাসিম নাঈমের ছেলে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইয়েনেত আরও জানায়, হামাস যোদ্ধারা অ্যাম্বুলেন্সে করে দোঘমুস গোষ্ঠীর এলাকায় প্রবেশ করে এবং হঠাৎ গোলাগুলি শুরু করে।
দোঘমুস গোষ্ঠী গাজায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী একটি সশস্ত্র দল হিসেবে সক্রিয়। তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে এবং অতীতেও তারা হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ইসরায়েলও স্বীকার করেছে, হামাসবিরোধী কিছু গোষ্ঠীকে সীমিত অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে তারা।
বিবিসির গাজার প্রতিনিধি রুশদী আবুলউফ জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ঘটনায় গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধ শেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এখন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব গাজার মানুষকে আবারও উদ্বেগের মধ্যে ফেলছে।
তবে হামাসের দাবি, তারা গাজায় ‘নিরাপত্তা পুনর্বহাল’ এবং ‘বিচারহীনতা দূর’ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।


















